ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী: 

মহেশখালীর সন্তান মার্শাল পাভেলকে সভাপতি ও মুস্তাফিজ মুস্তাককে সাধারণ সম্পাদক করে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশি গার্মেন্টস ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ইন মালয়েশিয়ার (বিজিটিএএম) ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ আগষ্ট) রাজধানী কুয়ালালামপুরের হাংতুয়ায় নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সকল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

নব নির্বাচিত সভাপতি মার্শাল পাভেল এক মেইল বার্তায় এ প্রতিনিধিকে  জানান, মালয়েশিয়া জুড়ে এমন মন্দার সময়েও তৈরি পোশাকের ব্যবসা ভালোই চলছে। তবে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার ফলে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। ভিসা সমস্যা সমাধানে তারা মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।

নতুন এই সংগঠনের কমিটিতে আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বারী, কোষাধাক্ষ মো. শাকিল, প্রচার সম্পাদক আবদুল বাতেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব প্রমুখ।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের হাংতুয়া এলাকাটি রেডিমেট গার্মেন্টস পণ্য পাইকারি বিক্রয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। প্রতিদিন এখানে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসেন তাদের দোকানে বিক্রির জন্য কেনাকাটা করতে। বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান উন্নত ও দামে সস্তা হওয়ায় লাভ বেশি থাকে খুচরা বিক্রেতাদের। মালয় ও চাইনিজ ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে বাংলাদেশি পণ্য।

তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের মান কিছুটা কমলেও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জনে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। তাছাড়া বাংলাদেশি দোকানগুলোর শোরুমের মালিক ও বিক্রয়কর্মীদের মালয় ভাষায় পারদর্শী হওয়ায় এবং সুন্দর ব্যবহারের ফলে ক্রেতারা সহজেই আকৃষ্ট হন।

এখান থেকে কেনা পণ্য যাচ্ছে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর, পূর্ব মালয়েশিয়া সাবাহ, সারওয়াক এবং সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায়। বাংলাদেশি রেডিমেট গার্মেন্টস পণ্য মালয়েশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী দেশসমূহেও ব্যাপক জনপ্রিয়।
এইসব পণ্য বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং সাভারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ায় আসছে। হাংতুয়ায় বাংলাদেশী মালিকানাধীন শো’রুম ও দোকান রয়েছে সাড়ে তিন শ’র বেশী। যাতে কাজ করছেন বাংলাদেশি ও মালয় নারী-পুরুষ কর্মীরা।